
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে আরও ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে একই দিনে প্রথম দফায় ৮ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। ফলে, একই ঘটনায় আজ মোট ১৪ জন এনবিআর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
দ্বিতীয় দফায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন, ঢাকার মূল্য সংযোজন কর বিভাগের নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত কমিশনার) হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার, ঢাকার ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত কমিশনার) সিফাত-ই-মরিয়ম, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, ঢাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মো. শাহাদাত জামিল, ঢাকা (উত্তর) কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের রাজস্ব কর্মকর্তা সবুজ মিয়া ও খুলনার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল বশর।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২২ জুন এনবিআরের জারি করা বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী তাদের এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপূর্বক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা বিধি মোতাবেক খোরপোশ ভাতা পাবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে দুটি বদলি আদেশকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
Comments