
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা ও যশোর বিভাগে গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির কারণে প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। স্থল নিম্নচাপ ও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ার কারণেই এই বৃষ্টি বলে জানান আবহাওয়া অফিস। যার প্রভাবে গঙ্গা-পদ্মা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বেড়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ দুপুরে জানিয়েছে, আগামী এক থেকে তিন দিন পর্যন্ত এসব নদীর পানি আরও বাড়তে পারে, যার ফলে দেশের চার জেলার নদীর কাছাকাছি এলাকা সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
পূর্বাভাস কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে মাঝারি-ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে যশোরে ১৩৩ মিলিমিটার এবং রাজশাহীতে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। একই সময়ে দেশের উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং ও ত্রিপুরার বিলোনিয়ায়ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। যে স্থলে নিম্নচাপটি সৃষ্টি হয়েছে, সেটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে, আর এ কারণেই বৃষ্টি বাড়ছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী দুই দিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বাড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীর কাছাকাছি নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এই নদীগুলোর পাশাপাশি গঙ্গা নদীর পানিও বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, "ভারী বৃষ্টিতে দেশের কয়েকটি নদীর পানি বেড়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত তা বাড়তে পারে। এতে চার জেলার নদী-সংলগ্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা কম।"
দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্য নদীগুলোর মধ্যে মহানন্দা নদীর পানি বাড়ছে। অপরদিকে করতোয়া, আপার-আত্রাই, যমুনেশ্বরী, টাঙ্গন ও পুনর্ভবা নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী তিন দিন এসব নদীর পানি বাড়তে পারে।
তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে। আবার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানিও কমছে। এই অববাহিকায় আগামী চার দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
Comments