Image description

আজ পবিত্র আশুরা, হিজরি মহররম মাসের দশম দিন। ইতিহাস, শোক ও ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই দিনটি মুসলিম বিশ্বজুড়ে গভীর ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হচ্ছে। কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদতের স্মরণে দিনটি ইসলামের ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত।

দিনটি উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান, নফল রোজা ও ইবাদতে মগ্ন রয়েছেন মুসলমানরা। শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়া থেকে বের হবে ১০ মহররমের প্রধান তাজিয়া মিছিল। 

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আজ বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে ‘পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন মুফতি মাওলানা মো. মুজির উদ্দিন এবং সভাপতিত্ব করবেন ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে সমাজে সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করার আহ্বান জানান।

রোজার ফজিলত: হাদিস অনুযায়ী, আশুরার রোজায় পূর্ব বছরের গুনাহ মাফ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার আগের দিন (৯ মহররম) ও আশুরার দিন (১০ মহররম), অথবা আশুরার দিন ও পরের দিন (১১ মহররম) রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

নিরাপত্তা নির্দেশনা: তাজিয়া মিছিলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি, আতশবাজি ও পটকা বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপি অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় এসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।