
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে তুমুল বিতর্ক। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এরই মধ্যে আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে ভোটের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির পাশাপাশি কেউ কেউ ওই সময়ে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এপ্রিলে ভোটের নজির নেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর আগে অনুষ্ঠিত ১২ সংসদ নির্বাচনের কোনোটিই এপ্রিলে হয়নি। সর্বোচ্চ তিনটি নির্বাচন হয় ফেব্রুয়ারিতে; জানুয়ারি, মার্চ ও ডিসেম্বরে হয়েছে দুটি করে নির্বাচন। আর মে, জুন ও অক্টোবর হয়েছে একটি করে নির্বাচন।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ স্বাধীন দেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালের ৭ মে। চতুর্থ সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ।
এরপর পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু হয়। পঞ্চম সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। একই বছর ১২ জুন হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
২০০১ সালের ১ অক্টোবর হয় অষ্টম সংসদ ও ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এটি সর্বশেষ ভোট। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধন করে শেখ হাসিনা তথ্য সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান চালু করেন। এই দলীয় সরকারের অধীনে পরপর তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ এবং সর্বশেষ গত বছর ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
Comments