
ইলিশের প্রজনন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ বুধবার মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাবেন জেলেরা। ইতোমধ্যে পিরোজপুর জেলার উপকূলবর্তী জেলেরা সমুদ্রযাত্রার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাশের এলাকার জেলেরা সাগরে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছেন। এছাড়াও মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিযা উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা ইতোমধ্যেই সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি শেষ করেছেন। রাত ১২টা থেকেই জেলার উপকূলীয় এলাকার সকল জেলেরা মাছ ধরার ট্রলারযোগে বঙ্গোপসাগরে রওয়ানা হবেন।
দীর্ঘ দুই মাস পরে সাগরে মাছ ধরতে পারবে বলে খুশির জোয়ার বইছে জেলে পরিবারগুলোতে। নিষেধাজ্ঞার কারণে অনাহার, অনিদ্রা, ক্ষুধা, দারিদ্রতা, ঋণের বোঝা জেলেপরিবারগুলোকে পেয়ে বসেছিল বলে জানান জেলেরা।
দক্ষিণ উপকূলীয় মৎস্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, ‘জেলে পরিবারে ঈদের আনন্দ বইছে। কারণ জেলেরা সাগরে যাবে মাছ ধরবে আবার তারা স্বাবলম্বী হবে। সবাই নিজ নিজ ট্রলার নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। অনেকে আবার আলীপুর ও মহিপুর গিয়ে অপেক্ষা করছে। সবাই একসাথে সাগরে যাত্রা করবে।’
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সর্নমত বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় সাগরে ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির মাছের সুষ্ঠু প্রজনন হয়েছে। যা সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের জেলায় প্রায় ৫ হাজার সাগরগামী জেলে রয়েছে যারা নিয়মিত মাছ ধরতে সাগরে যায়। নিষেধাজ্ঞার সময়ে আমরা জেলেদের নির্ধারিত চাল পৌঁছে দিয়েছি। তারা অপেক্ষা করেছে নিষেধাজ্ঞা মেনেছে। আমরা আশা করছি জেলেরা এবার ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ আহরণ করতে পারবে।’
Comments