Image description

শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর প্রাণরক্ষায় সাবেক স্পিকার, ডেপুটিস্পিকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ৬২৬ জনকে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জন ছিলেন রাজনীতিবিদ। এ বিষয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। 

বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান তুলে ধরা হয়।

আইএসপিআর জানায়, আশ্রয় দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন-২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল। সেসময়ে শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। 

আশ্রয়প্রাপ্ত রাজনীতিবিদদের তালিকা : জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক আইসিটিমন্ত্রী; সায়েদুল হক সুমন, তৎকালীন এমপি; শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার; নাজমা আকতার, তৎকালীন এমপি; সামসুল হক টুকু, সাবেক ডেপুটি স্পিকার; ছোট মনির, তৎকালীন এমপি; ইকবালুর রহিম, তৎকালীন এমপি; শাজাহান খান, তৎকালীন এমপি; রাগিবুল আহসান রিপু, তৎকালীন এমপি, বগুড়া-৬; এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, তৎকালীন এমপি, বগুড়া-৪; জাকির হাসান, তৎকালীন এসপি, বগুড়া; এমএ লতিফ, তৎকালীন এমপি; মো. মাহবুব আলম, তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান, মাদারগঞ্জ; কাজী নাবিল আহমেদ, সাবেক এমপি; সুজন সাত্তার, পিএস টু এমপি; তালুকদার আবদুল খালেক, তৎকালীন মেয়র, খুলনা সিটি করপোরেশন; হাবিবুন নাহার, তৎকালীন এমপি, বাগেরহাট-৪; এসএম রফিউদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এসএম ফয়সাল আহমেদ রানা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর; শরিফ কামাল, তৎকালীন চেয়ারম্যান, মিঠামইন উপজেলা; মো. ইকরামুল হক টিটু, তৎকালীন মেয়র, জিয়াউর রহমান বিপ্লব, কাউন্সিলর, বরিশাল সিটি করপোরেশন; মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, তৎকালীন মেয়র, সিলেট সিটি করপোরেশন এবং মো. আবু জাহির, তৎকালীন এমপি, হবিগঞ্জ-৩।