চট্টগ্রামে আলিফ হত্যা মামলা : অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা শুনানি ২৫ আগস্ট

চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা শুনানিতে বাদীর উপস্থিতি চেয়ে সমন জারি করেছেন আদালত। রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত শুনানির জন্য আগামী ২৫ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ শুনানিকালে আমি আদালতকে জানিয়েছি, চাঞ্চল্যকর এই মামলার বাদী ও নিহতের পিতা বয়স্কজনিত কারণে অসুস্থ থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। পরে আদালত বাদীর বরাবরে উপস্থিতির জন্য সমন জারি করেন এবং আগামী ২৫ আগস্ট বাদীর উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেন।’
গত ১ জুলাই আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী) মাহফুজুর রহমান।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, আলিফ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ও তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি মোট ৪২ জন। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর পলাতক রয়েছেন ১৮ জন। আসামিদের মধ্যে ৪ জনকে অব্যাহতি দানের প্রার্থনা করা হয়েছে।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েকদিন পর ৩১ অক্টোবর চিন্ময়ের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। একই বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত। সেদিনই ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চেয়ে আবার জামিন আবেদন করেছিলেন চিন্ময় দাসের আইনজীবীরা। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে তার জামিন ঘিরে সংঘর্ষে জড়ান চিন্ময়ের ভক্তরা। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরবর্তীতে আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলিফ হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তারা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
Comments