৬ শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছয় শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আসামি ৪১ বছর বয়সী নাজিম উদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির পূর্ব ধুরং বাবুগঞ্জে, তার বাবার নাম গোলামুর রহমান। আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন ওই ঘটনার সময় নগরীর পাঁচলাইশে মক্কা হোটেলের পাশের গলির রহমানিয়া তাহফিজুল কোরআন একাডেমির পরিচালক ও শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারায় ছয় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আসামি নাজিম উদ্দিনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।"
বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি নাজিম উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নাজিম উদ্দিন রহমানিয়া তাহফিজুল কোরআন একাডেমি মাদ্রাসার দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার ছয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন।
২০২১ সালের ৪ মার্চ ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর যৌন নিপীড়ন শিকার হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে তদন্ত করে। তদন্তে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার কয়েকজন শিশুকে নিপীড়নের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়।
পরে ওইদিনই ওই মাদ্রাসার ১১ বছর বয়সী এক ছাত্রের বড় ভাই বাদী হয়ে ছয় ছাত্রের পক্ষে মামলাটি করেন।
Comments