ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়িতে ব্যক্তিগত কোরবানির গরু তুলে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহীর নওদাপাড়া এলাকার সিটি হাট থেকে কোরবানির জন্য একটি গরু কিনে তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে ব্যবহৃত সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সরকারি গাড়ি করে উপজেলায় নিয়ে আসেন তিনি।

এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে খবর প্রকাশ হলে জেলা জুড়ে তাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে ওই খবর শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই ইউএনওর শাস্তি দাবি করছেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, ঈদে এ বছর ছুটি পাইনি, তাই এখানেই এবার ঈদ করতে হবে। আমাদের বাগাতিপাড়ায় কোনো হাট নেই, তাই রাজশাহী থেকেই গরু কিনতে হয়েছে। আজ রাজশাহীতে মিটিং ছিল। এসিল্যান্ড না থাকায় আমি এসিল্যান্ডের অতিরিক্ত চার্জে রয়েছি, তাই ওই গাড়িটি নিয়ে গিয়েছি। আমি শুধু যে গরুটি কেনা হয়েছে সেটি গাড়ির পেছনে তুলে নিয়ে এসেছি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়িতে গরু ওঠানো ঠিক হয়েছে কি নাু জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা যে অনিয়ম হয়েছে, সেটা কোথাও নেই। গাড়িতে কি তোলা যাবে কি তোলা যাবে না সেটার কোনো পরিপত্র দেখাতে পারবেন? আমি গরুকে সিটে বসাইনি। আমি নিজে গাড়িতে ছিলাম। আর পেছনে জায়গা ছিল, গরুটি গাড়ি নোংরা করেনি।

অন্যদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ডিসিসহ বিষয়টি সবাই জানেন, আমাদের নজরেও এসেছে। এটা ঠিক হয়নি।