Image description

২০১৩ সালে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পুলিশ কনস্টেবল জিএম ওমর ফারুক হত্যা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩৫৩ জন আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার(২ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাহবুব আলম এই রায় প্রদান করেন।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ হরিণাকুণ্ডুতে বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশ নির্বিচারে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় জনতার গণপিটুনিতে পুলিশ সদস্য ওমর ফারুক নিহত হন।

ওই ঘটনার দিনই হরিণাকুণ্ডু থানার উপপরিদর্শক হামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ২২০ জনের নাম উল্লেখসহ ৪ থেকে ৫ হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়, যার পর শুরু হয় ব্যাপক গণগ্রেপ্তার। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মোতাহার হোসেন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন, সেক্রেটারি ইদ্রিস আলী, বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন, আজিজুর রহমান ও আনসার আলীসহ শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষ ছাড়াও ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও জনপ্রতিনিধিদের গ্রেপ্তার করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

২০১৪ সালের ২৫ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩৫৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এই মামলায় মোট ৯৭ জনকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছিল।

সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি আকিদুল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বিশ্বাস মামলাটি পরিচালনা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বিশ্বাস বলেন, "সরকার পক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাদীরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন।"