
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট সকাল থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২ জন জাতীয় সংসদ ভবনের ‘একটি কক্ষে লুকিয়ে ছিলেন’। পরে সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে। বুধবার(২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি চলাকালে জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা জানিয়েছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘মামলার ঘটনার যে তারিখ ও সময়ের কথা শুনতে পেলাম তার বিষয়ে বলছি। ৫ আগস্ট রাত আড়াইটা পর্যন্ত মহান জাতীয় সংসদে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, আমিসহ ১২ জন আবদ্ধ ছিলাম। সেদিন সংসদ ভবন আক্রান্ত হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ন্যায়বিচার চাই।’
এ সময় পলক আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাকে জেলগেটেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’
এদিকে প্রসিকিউটর ফারুকী বলেন, ‘তিনি (পলক) স্বীকার করলেন পার্লামেন্টে পালিয়ে ছিলেন। শিরীন শারমিনও সেখানে ছিলেন। তাকে এখনো পাইনি।
এর আগে গত বছরের ১৫ আগস্ট পলককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন সময় হত্যা, হত্যাচেষ্টার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অপরদিকে, তৎকালীন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী বিভিন্ন মামলার আসামি হলেও তাকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি দেশে আছেন, নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছেন- সেটা নিয়েও নানা কথা প্রচলিত আছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, শিরিন শারমিন দেশেই আছেন এবং কোনো শক্তিশালী একটি পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।
Comments