ফিলিস্তিন ইস্যুতে এবার পশ্চিমা মিত্রদেরকেই হুমকি দিয়ে বসলো যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। এ হত্যাযজ্ঞের মধ্যে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ, যেমন কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন, ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল এবং তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশগুলোকে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
প্রেস টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আর গত রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার এই আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে 'মারাত্মক ভুল' বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে ইসরায়েল 'পাল্টা ও একপাক্ষিক' পদক্ষেপ নেবে। তিনি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোকে তাদের সিদ্ধান্তের জন্য বিপজ্জনক ভুল করছে বলে সতর্ক করেন, যা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
একই দিনে ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। তিনি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এই পদক্ষেপ অসলো চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করবে, কারণ ওই চুক্তি অনুযায়ী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনোই গঠিত হয়নি। এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন যে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টা যুদ্ধবিরতির চেষ্টাকে বিপদে ফেলবে।
গত জুলাই মাসে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের আয়োজনে একটি সম্মেলনে 'দ্বিরাষ্ট্র সমাধান' নিয়ে আলোচনা হয়। তখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন যে, ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে তার দেশ আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে। এরপর ব্রিটেন, বেলজিয়াম, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। গত ৩০ আগস্ট, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং আরও ৮০ জন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
Comments