
চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের (সিপিইসি) আওতায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে চীন ও পাকিস্তান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
পাকিস্তান সরকারের এক বিবৃতি অনুযায়ী, সিপিইসি কর্মসূচির অধীনে দুই দেশ নতুন প্রকল্প চালু করতে সম্মত হয়েছে। তবে প্রস্তাবিত প্রকল্প সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এই উদ্যোগটি চীনের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ) প্রকল্পের একটি অংশ, যা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে চীনের সঙ্গে এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সম্পর্ক গভীর করছে।
চীন ইতিমধ্যেই সিপিইসির মাধ্যমে পাকিস্তানে সড়ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং রেল সংযোগ তৈরিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর মাধ্যমে চীনের পশ্চিমাঞ্চলের শিনজিয়াং প্রদেশকে পাকিস্তানের গদর বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেলুচিস্তান এবং অন্যান্য অঞ্চলে চীনা কর্মী ও প্রকৌশলীরা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার শিকার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ওয়াং ই চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যেই চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প ও কৃষি খাতে সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চীন দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের প্রধান মিত্র এবং ঋণদাতা হিসেবে কাজ করছে, বিশেষ করে যখনই ইসলামাবাদ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে, বেইজিং সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার একদিন আগেই ওয়াং ই ও ইসহাক দার আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে কাবুলে ত্রিপক্ষীয় সংলাপে মিলিত হয়েছিলেন। পাকিস্তান সফরের আগে ওয়াং ই প্রতিবেশী দেশ ভারতও সফর করেন, যেখানে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
Comments