Image description

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর আক্রমণ আরও জোরদার করেছে। সম্প্রতি, সিআইএর শীর্ষ কর্মকর্তা শেলবি পিয়ারসন ও ভিন এনগুইয়েনসহ ৩৭ জন বর্তমান ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘সংবিধানের প্রতি শপথ ভঙ্গের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ১৯ আগস্ট জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড এই পদক্ষেপ নেন।

এই কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরিকারীরাও রয়েছেন। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ‘ডিপ স্টেট’ বা সমান্তরাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর চলমান যুদ্ধের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ল্যারি ফাইফার বলেন, “নিরাপত্তা ছাড়পত্র হারানো মানে কর্মজীবনের সমাপ্তি।” অনেকে অবসরের পর পরামর্শক হিসেবে কাজের জন্য এই ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করেন। 

একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, এই পদক্ষেপের ফলে কর্মকর্তারা বিতর্কিত বিষয়ে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন, যা গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের মনোবল ভেঙে দিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও সমালোচকদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এবারই প্রথম এত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করা হয়েছে। জুলাইয়ে সিআইএ পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ ২০১৬ সালের রাশিয়া-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের পর্যালোচনা প্রকাশ করেন। একই সময়ে তুলসী গ্যাবার্ড একটি পুরোনো হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির পর্যালোচনা জনসমক্ষে আনেন, যা সিআইএর আপত্তি সত্ত্বেও প্রকাশিত হয়।

এই ঘটনায় গোয়েন্দা সম্প্রদায়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির সিনিয়র ডেমোক্র্যাট সদস্য মার্ক ওয়ার্নার বলেন, “আমি ভেবেছিলাম গ্যাবার্ড খারাপ, কিন্তু এতটা খারাপ হবে তা ভাবিনি!” 

সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস একটি ম্যাগাজিনে খোলা চিঠিতে বলেন, “আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এমন আত্মঘাতী পদক্ষেপ নিলে আমরা আনন্দিত হতাম। কিন্তু এখন আমরা ক্রেমলিন ও ঝোংনানহাইয়ে শ্যাম্পেনের গ্লাস ঠোকাঠুকির শব্দ শুনছি।”

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট