
নাইজারের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণ করা হয়েছে। তিলাবাড়ি অঞ্চলে কাজ করত তাঁরা। নাইজেরিয়ান নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি সূত্র এবং ভারতীয় কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বুধবার ওই বিবৃতিতে দেখেছে রয়টার্স।
শনিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রি-সীমান্ত অঞ্চল সাকৈরাতে হামলায় ১২ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। যেটি পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে অবস্থিত। যেখানে নাইজার, বুরকিনা ফাসো এবং মালি একত্রে এসে মিলেছে।
দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, অহরণের শিকার পাঁচজন নাইজারের কানদাদজি বাঁধ প্রকল্পে ভারতীয় একটি কোম্পানির হয়ে সেবা প্রদান করত।
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের স্থানীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই পাঁচ ভারতীয় তিলাবাড়ি অঞ্চলে কাজ করত। তারা সবাই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অপহৃত পাঁচজনকে নাইজারে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস তাদের মুক্তির জন্য সহায়তা চেয়ে নাইজেরিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
কোন সশস্ত্র গোষ্ঠী এই অপহরণের ঘটনায় জড়িত, নাইজার কর্তৃপক্ষ এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি। তবে গত মাসে ত্রি-সীমান্ত অঞ্চলে একটি মসজিদে হামলার ফলে ৪৪ জন ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় ইসলামি স্টেট সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী ইআইজিএস ওপর দায় চাপানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে এই গোষ্ঠীটি ভারতীয়দের অপহরণ করেছে।
নাইজার, মালি এবং বুরকিনা ফাসো আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি জিহাদি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই বিদ্রোহের সূত্রপাত ২০১২ সালে মালির উত্তরাঞ্চলে তুয়ারেগ বিদ্রোহ থেকে, যা পরবর্তীতে আশপাশের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
চলতি বছর অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানুয়ারিতে নাইজারে একজন অস্ট্রিয়ান নারী অপহৃত হয় এবং এপ্রিলের শুরুতে এক সুইস নাগরিকেও অপহরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও জানুয়ারিতে নাইজার ও বুরকিনা ফাসোর সীমানায় চারজন মরক্কোর ট্রাকচালক নিখোঁজ হন।
Comments