Image description

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ। তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এরইমধ্যে ডায়রিয়া, জ্বর, হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এই গরমে সুস্থ থাকতে সঠিক খাদ্যাভাস জরুরি। 

এই গরমে কী খাওয়া যাবে আর কী খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, তা নিয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

তাপপ্রবাহের অন্যতম সমস্যা হলো পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতা দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এছাড়া শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে ডাবের পানি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় প্রতিদিন ডাব কিনে খাওয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে স্যালাইন পানি খাওয়া যেতে পারে।

বেশি মসলাযুক্ত খাবার এড়াতে হবে

তীব্র গরমে কম মসলা দেওয়া খাবার খেতে হবে। গরমে মাংসের পরিবর্তে মাছ খাওয়া ভালো। পাতলা ঝোলের তরকারি খেতে হবে। তবে টাটকা খাবার খেতে হবে, তা না হলে ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

আইসক্রিম ও কোল্ড ড্রিংকস থেকে দূরে থাকুন

গরমে আইসক্রিম ও কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে মনে করেন, আইসক্রিম ও ঠান্ডা বোতলজাত কোমল পানীয় খেলে গরম কম লাগবে। কিন্তু এগুলো খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্যই আইসক্রিম কিংবা কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার পরপরই মানুষ তৃষ্ণার্ত বোধ করে।

বেশি বেশি সবজি খান

তাপপ্রবাজের সময় শাক-সবজি খেতে হবে। বাজারে এখন ঝিঙ্গা, চালকুমড়া, লাউ, চিচিঙ্গা, সজনে ডাঁটা, শাকের ডাঁটাসহ বিভিন্ন সবজি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোকে যদি পাতলা ঝোল করে রান্না করে খাওয়া হয়, তাহলে এগুলো একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা জোগাবে, অপরদিকে শরীরে গরম অনুভব করাবে না।

ফল খেতে হবে

গরমে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য ফল খাওয়া উচিত। বাজারে এখন তরমুজ আছে—গরমের ফল হিসেবে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। কারণ তরমুজে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পানি থাকে। এছাড়া কাঁচা আমের শরবত খাওয়া যেতে পারে। এতে গরম কম অনুভব হতে পারে।

দই

পাকস্থলীকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন টক দই খাওয়া যেতে পারে।

স্যুপ ও ফলের রস 

এ গরমে শিশুদের স্যুপ, ফলের রস খাওয়াতে হবে। শিশুরা যদি টক খেতে চায়, তাহলে তারা মিষ্টি দইয়ের লাচ্চি খেতে পারে।

মানবকণ্ঠ/এআই