Image description

বৃক্ক বা কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি আক্রান্ত হলে একের পর এক নানা জটিল সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। কিডনির অসুখ আসলে নিঃশব্দ ঘাতক। কারণ, এর কোনো নির্দিষ্ট উপসর্গ হয় না। 

তবে কয়েকটি সাধারণ উপসর্গ দেখা দিলে আগে থেকেই সাবধান হওয়া দরকার। বিশেষ করে একাধিকবার প্রসাবের সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অবশ্যই মূত্র পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত। কোনো ত্রুটি থাকলে অবশ্যই নেফ্রোলজিস্ট বা কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। কিডনির সমস্যা থাকলে একাধিকবার প্রসাবের সংক্রমণ হতে পারে, প্রসাবের সময় জ্বালা বা ব্যথাও হতে পারে।

এছাড়াও ক্ষুধা কমে যাওয়া বা সারাক্ষণ বমি বমি ভাবও কিডনির সমস্যার উপসর্গ হতে পারে। অনেকের দেখা যায়, অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা, শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হয়। হাঁটা, চলাফেরা ঠিকভাবে করতে পারেন না। এসব উপসর্গের পেছনেও লুকিয়ে থাকতে পারে কিডনির সমস্যা। 

রক্তচাপ বৃদ্ধি বা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি চোখ, মুখ, পা ফোলা থাকে তবে তা কিডনির সমস্যার উপসর্গ হতে পারে। তবে আপনার কিডনির সমস্যা আছে কিনা তা জানতে অবশ্যই কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কিডনির সমস্যা বেশি ধরে রাখা ঠিক না। কারণ কিডনি সমস্যা একটি ঘাতক রোগ। 

এই রোগ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও অনেক সময় ধরা পড়ে না। তাই কিডনি রোগকে নীরব ঘাতক রোগও বলা হয়ে থাকে। এজন্য ছয় মাস পর পর চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে কিডনি পরীক্ষা করা উচিত। 


মানবকণ্ঠ/এফআই