
ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তিনি এখন নিজের কর্মজীবনের গতি কমিয়ে দিয়েছেন। খ্যাতির পেছনে না ছুটে বরং পরিবার, আত্মিক শান্তি এবং ব্যক্তিগত বিকাশে মনোযোগ দিচ্ছেন।
এ আর রহমান বলেন যে তিনি নিজেকে জলের মতো করে দেখতে চান, যা যে কোনো পাত্রের আকার ধারণ করে। তার মতে, কাজ আসে নিজের ছন্দে এবং নিজের নিয়মে। সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রেখে তিনি জানান, তার জীবনে ধৈর্যই আসল দিশা।
তিনি স্বীকার করেছেন যে, কর্মজীবনের শুরুতে তিনি অতিরিক্ত কাজ করতেন এবং এর ফলে জীবনের অনেক মূল্যবান অনুভূতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এখন তিনি সেই ভুল শুধরে নিচ্ছেন এবং নতুন কিছু শিখতে, অনুভব করতে ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছেন। তার এই পরিবর্তন শুধু কাজের ক্ষেত্রে নয়, বরং জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গির এক মৌলিক রূপান্তর।
সম্প্রতি এ আর রহমানের ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষ করে তার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নানা জল্পনা চলছে, যদিও তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে পরিবার ও সম্পর্কের ওপর তার জোর ইঙ্গিত করে যে, ব্যক্তিগত শান্তিই এখন তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৯৫ সালে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন এ আর রহমান। তাদের তিন সন্তান আছে: খাতিজা, রহিমা এবং এ আর আমিন। দীর্ঘ তিন দশকের এই সম্পর্ক তার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা কোনো মঞ্চে বাজানো সুরের চেয়েও গভীর।
Comments