Image description

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি ভিডিও গতকাল শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুলকালাম।

এ ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল শোবিজ অঙ্গনও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক তারকা ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্ষকদের বিচার দাবি করছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনও। 

রবিবার (২৯ জুন) সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে অভিনেত্রী দাবি করেন, তিনি নিজেও এই দেশে নিরাপদ নন। এমনকী জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও তিনি আশাহত হচ্ছেন। 

নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের শুরুতেই বাঁধন প্রশ্ন তুলে লেখেন, ‘এই দেশে আমি কি নিরাপদ? উত্তরটা সহজ : না। মোটেও না।’ অভিনেত্রী লেখেন, প্রতি দিন এই দেশের মেয়েরা, নারীরা নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি আর অবিচারের শিকার হচ্ছেন।

এর পরিবর্তে আমরা কি করি? আমরা সহ্য করি, আমরা প্রতিরোধ করি। আর কেউ কেউ বেঁচেও থাকে না। কেউ কেউ এই সহিংসতার বলি হয়ে প্রাণ হারান।’

কেউ প্রাণ হারালেই তখন বাকী সবার টনক নড়ে বলে জানান অভিনেত্রী। তখনই হঠাৎ সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। হ্যাশট্যাগ ছড়ায়। তারপর সব কিছু ফিকে হয়ে যায়। আবার আগের মতো চলতে থাকে সবাই। এটাই দীর্ঘদিনের বাস্তবতা। এটা নতুন কিছু নয়।

এরপর নিজের প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমি কতবার কত ধরনের অনলাইন হুমকি পেয়েছি। ঘৃণা, গালিগালাজ, কুৎসা রটানো, হয়রানি-তাতে কি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? না। কারণ, এই দেশে অনেকেই বিশ্বাস করে, আমি এসব প্রাপ্য। যতক্ষণ না আমি খুন হচ্ছি, ততক্ষণ তারা ভাববে-আমাকে হেয় করা যাবে, চুপ করাতে হবে, লাঞ্ছিত করা যাবে।

রাষ্ট্রের ওপর আর ভরসা নেই জানিয়ে বাঁধন বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারিনি। জুলাই বিপ্লবের পর আমি আশা রাখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু ভুল করেছিলাম। এই দুর্নীতিগ্রস্ত, পিতৃতান্ত্রিক দেশে আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটাই সত্যি। এটাই বাস্তবতা। আর আমাদের সেই বাস্তবতাই মানতে বাধ্য করা হচ্ছে।’