Image description

বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুর না ফেরার দেশে চলে গেছেন। লন্ডনে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের সঞ্জয়ের মৃত্যু ঘিরে নানা ধরনের খবর প্রকাশ্যে আসে।

তার বন্ধু ও ব্যবসায়িক সহযোগী সুহেল সেঠ এএনআইকে জানান, এ ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর মৃত্যু একটি মৌমাছির কারণে হয়েছে! তিনি একটি মৌমাছি গিলে ফেলেছিলেন। সে ভয়েই তাৎক্ষনিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সঞ্জয়। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, সঞ্জয় চেষ্টা করেছিলেন মৌমাছি গলা থেকে বার করে আনার। কিন্তু আতঙ্কিত হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। বিষয়টি এতই দ্রুত ঘটে যায়, চিকিৎসারও কোনো সুযোগ মেলেনি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সঞ্জয় লন্ডনে পোলো খেলতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্য টেলিগ্রাফ-এর বরাত দিয়ে উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোলো ম্যাচ চলাকালীন উপস্থিত দর্শকরা শুনেছিলেন যে সঞ্জয় কিছু একটা বলেছিলেন। তার কথাটি ছিল, আমি কিছু গিলে ফেলেছি।

এ কথায় উপস্থিত অনেকে ধারণা করেন যে তিনি সম্ভবত একটি পোকা গিলে ফেলেছেন। পরে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তিনি একটি মৌমাছি গিলে ফেলেছিলেন। 

সঞ্জয় কাপুর এবং কারিশমা কাপুর ২০০৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৬ সালে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান রয়েছে। এরপর ২০১৭ সালে মডেল প্রিয়া সচদেবকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। দুজনের সে সংসারে একটি ছেলে রয়েছে। তবে কারিশমার সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন সঞ্জয়। বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যেত দুজনকে। প্রাক্তন স্বামীর এমন মৃত্যুতে ভেঙে পড়তে দেখা গেছে কারিশমা কাপুরকেও।

এদিকে ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী এই শিল্পপতির সম্পদের পরিমাণ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সঞ্জয় কাপুরের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১০ হাজার ৩০০ কোটি রুপি)। ফোর্বস সাময়িকীর জরিপে তিনি বিশ্বের ২ হাজার ৭০৩তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন।

সঞ্জয় কাপুর ছিলেন অটোমোটিভ যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী বহুজাতিক সংস্থা সোনা কমস্টারের চেয়ারম্যান। এ সংস্থার বাজারমূল্য ছিল ৪০ হাজার কোটি রুপির কাছাকাছি। বিশ্বের শীর্ষ ১০ গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টিরই যন্ত্রাংশ সরবরাহ করত সোনা কমস্টার। বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) খাতে ভারতীয় অগ্রগতির অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিল কোম্পানিটি।

সোনা কমস্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সঞ্জয়ের বাবা সুরিন্দর কাপুর, ১৯৯৭ সালে। ২০১৫ সালে তার মৃত্যুর পর সঞ্জয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন। সংস্থাটির কারখানা রয়েছে ৯টি দেশে।