Image description

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম মঙ্গলবার প্রায় চার সপ্তাহের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর বুধবার সকালে দুবাইয়ে মূল্যবান ধাতুটির দাম কিছুটা কমেছে। মার্কিন ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তার মাঝে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দেখছেন। এবার এ নিয়ে চলমান ওঠানামার কারণ ও প্রভাব বিশ্লেষণ করলেন মার্কেট বিশেষজ্ঞরা। খবর খালিজ টাইমস

২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি গ্রামে দাঁড়িয়েছে ৪০৪.৫ দিরহাম, যা মঙ্গলবারের ৪০৬ দিরহামের থেকে কিছুটা কম। মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম ১০ দিরহাম বাড়িয়ে প্রায় চার সপ্তাহের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। একই সঙ্গে ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দামও যথাক্রমে ৩৭৪.৫, ৩৫৫ ও ৩০৭.৭৫ দিরহামে নামেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ডের মূল্য স্থিতিশীল ছিল ৩ হাজার ৩৫৪.৫৯ মার্কিন ডলার প্রতি আউন্সে, যা সামান্য ০.০৭ শতাংশ বেড়েছে। মার্কিন ও চীনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে।

এমইএনএর সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক রানিয়া গুলে জানান, ‘স্বর্ণের দাম এখন বেশ ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার দাম ৩ হাজার ৪০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর সামান্য কমেছে। তবে এটি সাময়িক বিরতি মাত্র, যা দীর্ঘমেয়াদি বলিশ প্রবণতায় কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্ধিত বাণিজ্য উত্তেজনা, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য নীতিগত পরিবর্তনগুলো স্বর্ণেকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে রূপ দিয়েছে। এই দামের সামান্য পতন মধ্যমেয়াদি ক্রয়ের সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।’

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশে বাড়ানোর ঘোষণা নতুন বাজার উদ্বেগের কারণ হিসেবে কাজ করেছে। এর ফলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা আবারো জাগ্রত হয়েছে।

রানিয়া গুলে যোগ করেন, ‘বাজার শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের প্রতি নয়, রাজনৈতিক সংকেতের প্রতিক্রিয়াতেও প্রভাবিত হচ্ছে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই স্বর্ণের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে চাহিদা বাড়ছে, যদিও মার্কিন ডলারের ওঠানামার কারণে দাম সাময়িক কমতে পারে।’