Image description

চড়া দামে সবজি কিনতে যখন ভোক্তার নাভিশ্বাস উঠছে ঠিক তখনই সস্তা প্রোটিনের সোর্স হিসেবে পরিচিত ডিমের দাম বাড়ল। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম একই রকম থাকলেও বেড়েছে সোনালি মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। এ ছাড়া পুরনো মিনিকেট চাল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে বাজারে নতুন আসা মিনিকেট।

ঢাকার কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, রামপুরা, সেগুনবাগিচা, মগবাজারসহ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। যা দাম বৃদ্ধির পর ১৪০-১৪৪ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবজির চড়া দামের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ ডিম খাওয়া বাড়িয়েছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত গরমে প্রান্তিক খামারিদের মুরগি মারা যাচ্ছে এবং ডিমের প্রোডাকশন খানিকটা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে ডিমের দাম বাড়ছে।

উৎপাদনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি থাকায় গত কয়েক মাস ধরে বাজারে কম দামে ডিম বিক্রি হয়েছে। ফলে খামারিদের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ডিম বিক্রি করতে হয়েছে,  যে পরিস্থিতি এখনো বিরাজ করছে। 

জানা গেছে, সবজির বাজারে শুধু আলুর দাম মানভেদে ২৫-৩০ টাকা কেজি। এ ছাড়া ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। ভালো মানের প্রতি কেজি লম্বা বেগুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমলেও এখনো ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গোলাকার বেগুন কিনতে হলে ক্রেতাকে ১০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে প্রতি কেজির জন্য। ঢেঁড়স ও ছোট পটোল বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে, ধুন্দল, বরবটি, চিচিঙ্গা, করলা মান ও বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮৫ টাকা পর্যন্ত দামে। কোনো কোনো সবজির দাম সামান্য কমলেও এই উচ্চমূল্য সাধারণ মানুষের সংসার খরচে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।