Image description

রাজধানীর কদমতলী রায়েরবাগের মেরাজনগরে তামান্না আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট)  রাত ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

তামান্না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নায়েব আলীর মেয়ে এবং দেড় বছরের এক কন্যাশিশুর মা। স্বামীর সঙ্গে মিরাজনগরে ভাড়া থাকতেন তিনি। 

তামান্নার চাচা জিয়াউল হক জিয়া জানান, ২০২২ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হওয়ার পর থেকে স্বামী মোহাম্মদ নয়ন ও শাশুড়ি যৌতুকের দাবিতে তামান্নাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। তামান্নার বাবা বেশ কয়েকবার নয়নকে নগদ টাকা দিয়েছিলেন। কয়েক দিন আগে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থতার খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করেন, তামান্না গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন এবং ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামানো হয়েছে। 

তিনি দাবি করেন,  দেড় বছরের সন্তান রেখে তামান্না গলায় ফাঁস দিতে পারেন না। তার  শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।  ঘটনার পর থেকে স্বামী নয়ন পলাতক।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, গৃহবধূর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য কদমতলী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।