
কুমিল্লার চান্দিনায় সিআইডি পরিচয়ে এক প্রবাসীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদলের নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চক্র প্রবাসীর পরিবার থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করেছিল। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত অভিযানে অপহৃত প্রবাসীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রধান হলেন সোহেল মুন্সি (৩৯), যিনি চান্দিনা পৌরসভা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সভাপতি। অন্য চারজন হলেন সোহাগ আহমেদ (৩৫), মো. রাসেল মিয়া (২৯), মো. হানিফ (২৭) এবং মো. ফয়সাল (২৭)। এদের সবার বিরুদ্ধেই সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. সোহেল সরকার গত ১১ জুলাই মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে তার শ্বশুরবাড়ি চান্দিনার ছায়কোট গ্রামে আসেন। গত রোববার দুপুর দেড়টার দিকে ৫-৬ জন লোক তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নিজেদের সিআইডি পরিচয় দেয়। তারা সোহেলকে ঘর থেকে বের করে "অবৈধ মাল" থাকার অভিযোগ তুলে তাকে জাপটে ধরে। এরপর তার শ্বশুরের ঘর থেকে প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি আইফোন এবং একটি স্মার্টফোন লুট করে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
অপহরণকারীরা সোহেলকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় নিয়ে আসে এবং তার স্ত্রীর কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন করে। প্রবাসীর স্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে চান্দিনা সেনা ক্যাম্পে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী দ্রুত অভিযান শুরু করে এবং ঘটনাস্থল থেকে সোহেল মুন্সিসহ দু'জনকে আটক করে প্রবাসীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এবং লুট হওয়া প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী সোহেল সরকার বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Comments