Image description

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ‘গরু চোর’ সন্দেহে পুলিশের কাছে তথ্য দেওয়ার জেরে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সুমন মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারের কলেজ সড়ক এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন সুমনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

গ্রেপ্তার সুমন ওই এলাকার বাসিন্দা এবং লোহার গ্রিল তৈরির একটি দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। লাঞ্ছিত ইউপি সদস্য হলেন পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ধামাই চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা লাচনা নাইডু (৫৫)। সুমনকে আসামি করে গতকাল রাতে মামলা করেন তিনি।

জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির আহমদ জানান, ইউপি সদস্যের করা মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তাকে মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রায় তিন মাস আগে গভীর রাতে ধামাই চা-বাগান এলাকায় ‘গরু চোর’ সন্দেহে এলাকাবাসী সুমনকে আটক করে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য লাচনা নাইডু ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ সুমনকে থানায় নিয়ে গেলেও পরদিন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত রোববার সকালে লাচনা নাইডু ও একই ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনীন্দ্র রুদ্রপাল উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারের একটি রেস্তোরাঁয় নাশতা করছিলেন। আগের ঘটনার জেরে সুমন সেখানে গিয়ে লাচনা নাইডুকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে "তুই পুলিশ দিয়া ধরাইছছ" বলে তার শার্টের কলার ধরে টেনে বাইরে নিয়ে যান। মনীন্দ্র বাধা দিলেও সুমন থামেননি। পরে সড়কের পাশে নিয়ে লাচনাকে জুতাপেটা করেন। স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে সুমনকে থামান।

ওই ঘটনার পর সুমন পলাতক ছিলেন। গতকাল রাতে কলেজ সড়কে স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকাবাসী তাকে আটক করেন এবং পরে পুলিশের কাছে তুলে দেন। রাতেই লাচনা নাইডু বাদী হয়ে সুমনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।