ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা: বিএনপি নেতাসহ আটক ৩

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ১২ বছরের কিশোরীকে কয়েকদিন পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে তিন বন্ধু। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
এ ঘটনায় সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস তালুকদারের ছেলে লিটন তালুকদার (৩৫) ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। অন্যরা হলো তার দুই সহযোগী একই গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মো. সেলিম (২৩) ও তারা মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (২৮)।
মামলা ও যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, কুমারপাড়া গ্রামের জনৈক কিশোরীকে একই গ্রামের মৃত দুলালের বখাটে ছেলে মো. শাহিন গত ১৪ জুন দুপুরে ফুসলিয়ে তার ঘরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। একইভাবে পরপর চারদিন জোরপূর্বক মেয়েটিকে সে ধর্ষণ করলে একপর্যায়ে তার বন্ধু আলা উদ্দিনের ছেলে মো. পারভেজ জেনে ফেলে। পরে এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ জুন বিকেলে ওই মেয়েকে পারভেজও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ বিষয়টিও জেনে ফেলে তাদের অপর বন্ধু একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. লাভলু। ১৯ জুন দুপুরে মেয়েটিকে তার বাড়িতে একা পেয়ে ৬ষ্ঠবারের মতো ধর্ষণের চেষ্টা চালায় লাভলু। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গেলে সে পালিয়ে যায়।
ধর্ষিতা কিশোরীর মা অভিযোগ করেন, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। গত রবিবার (২২ জুন) রাতে আপোষ-মীমাংসার কথা বলে লিটন তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠক বসিয়ে ধর্ষণের ঘটনা গোপন রাখতে চাপপ্রয়োগ করা হয়।
পরে তারাকান্দি সেনাক্যাম্পে খবর দিলে রাত ১১টার দিকে ক্যাপ্টেন অর্ণব কবির প্রাপনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী তিনজনকে আটক করে।
এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান বলেন, ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Comments