
ময়মনসিংহের ভালুকায় মাত্র ৫০০ টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করে স্বামী। খুন করে লাশ খাটের নিচে রেখে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যান ঘাতক স্বামী। ঘটনার তিনদিন পর খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় লাশ। শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
ভালুকা উপজেলার হবির বাড়ি এলাকার সীডস্টোর বাজারে ঘটে এ হৃদয়বিদারক ঘটনা। নিহত নারী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি স্বামী স্বপন মিয়ার সঙ্গে ওই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, গত ৬ জুন সকালে স্বপন তার স্ত্রীর কাছে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দাবি করেন। সাবিনা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বপন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ঘরের ফ্রিজের পাশে থাকা শিল দিয়ে সাবিনার মাথায় আঘাত করেন এবং ধারালো বটি দিয়ে উপর্যুপরি কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাবিনা। পরে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান স্বপন।
এদিকে আত্মীয়-স্বজন মোবাইল-ফোনে না পেয়ে ভাড়া বাসায় এসে ঘরে তালা দেওয়া দেখতে পান। পরে ঘরের তালা ভেঙে খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় সাবিনার অর্ধগলিত লাশ। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
ঘাতক স্বপন পালিয়ে পার্শ্ববর্তী গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটি এলাকায় একটি মেসে লুকিয়ে ছিলেন। শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ সেখান থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর স্বপন স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার দেখানো মতে উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত শিল ও বটি। তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে উদ্ধার করা হয় নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, তিনদিন অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর থেকে আসামি স্বপনকে গ্রেফতার করে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত শিল ও বটি উদ্ধার করা হয়েছে।
Comments