Image description

হাসিনা সরকারের আমলে ডিবি প্রধান হারুনের সঙ্গে সখ্যতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ও অবৈধভাবে শতকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা'র অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করে সরাইল থানায় সোপর্দ করে ডিবি পুলিশের একটি টিম। 

গ্রেফতারকৃৃত বাচ্চু মিয়া সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউরা গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা বাচ্চু মিয়া'র বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, নাশকতা, চাঁদাবাজি ও সংঘর্ষে উসকানির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন। অবশেষে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ ও ডিবি হারুনের ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মের পাশাপাশি বাচ্চুর বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের জমি দখল এবং ধর্ষণের অভিযোগ দীর্ঘদিন আগে উঠলেও অর্থ ও ক্ষমতার জোরে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি। তবে আওয়ামীলীগের অলৌকিক শক্তি'র পাশাপাশি বিএনপির শাসনামলে'ও প্রভাব প্রয়োজনে'র দিকটি মাথায় রেখে বিএনপির অরুয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ-ও বাগিয়ে নেন বাচ্চু। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নিজের মহা বিপদ আন্দাজ করে নিজেকে রক্ষা করতে খোলস পাল্টে অরুয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ানো শুরু করেন তিনি। তবে ছলচাতুরী করেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। এদিকে একই ব্যক্তি দুই দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে থাকায় এ নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বিতর্ক চলছে দীর্ঘদিন যাবত। দেরিতে হলেও তাকে গ্রেফতারের ফলে স্বস্তি ফিরে এসেছে সরাইল উপজেলা'র অরুয়াইল ইউনিয়নের বিভিন্ন মহলের মাঝে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজনৈতিক অনেক নেতার দাবি,  গ্রেফতার হওয়া এ নেতা দলে প্রভাব খাটানো, অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি এবং ব্যক্তিস্বার্থে রাজনৈতিক অবস্থান কাজে লাগানোর কারণে বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তার আচরণে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ ছিলেন।