Image description

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার রক্ষা তো দূরের কথা বরং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হতো। আইনেও ছিল সীমাবদ্ধতা।

শনিবার সকালে কক্সবাজারের ইনানীর একটি হোটেলে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি- ইউএনডিপি এর লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ আয়োজিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর সংশোধন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ড্রাফট নিয়ে পরামর্শ কর্মশালায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, এই সরকার মানবাধিকার রক্ষায় একটি মাইলফলক স্থাপন করে দিয়ে যেতে চায়। জুলাই অভ্যুত্থানের এত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতায় আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এসময় তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম, খুন ও আয়না ঘর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ প্রণীত হলে, এই সরকারের আমলেই তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবে কমিশনকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধেও স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া গুম ও খুন প্রতিরোধে আলাদা আইন প্রণয়নের বিষয়টিও ড্রাফটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পরামর্শক ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। তিনি “প্রস্তাবিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫” এর সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তব্য রাখেন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. স্টেফান লিলার, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হি. ই. রেটো সিগফ্রিড রেনগলি। সভায় বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের কক্সবাজারভিত্তিক মানবাধিকার কর্মকর্তা মি. ইফতেখার সায়েদ আলী। 

উন্মুক্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন, ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। আলোচনার প্রতিফলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত হি. ই. নিকোলাস উইকস এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র রুল অব ল, জাস্টিস অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর মিসেস রোমানা শোয়েইগার। 

সমাপনী বক্তব্য দেন জোরপূর্বক গুম বিষয়ক অনুসন্ধান কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।