Image description

উজিরপুরে তরুণীর সাথে তরুনীর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এক খ্রিষ্টান তরুণীর আত্মহত্যা। বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ধামসর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ০৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাতটার সমায় ধামসর গ্রামের মাইকেল পান্ডের বসত ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন মাইকেল পান্ডের ভাগ্নি ন্যান্সি মন্ডল (১৮) তিনি মৃত মিন্টু মন্ডল ও অঞ্জু মন্ডল এর কন্যা। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার অপর মামা সুমন পান্ডে। পুলিশ জানয় মাইকেল পান্ডের বসত ঘরে রুমের ভিতর ঘরের কাঠের আড়ার সাথে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

পারিবারিক সূত্রে  জানা যায় যে, ভিকটিম প্রতিদিনের ন্যায় তার মামা মাইকেল পান্ডে ও মামানীর সাথে রাতের খাবার খেয়ে মাঝখানের রুমে ঘুমাতে যায়। তার মামা ও মামী বাসার পিছনের বারান্দা রুমে ঘুমানো ছিল। সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের মামা মাইকেল পান্ডে ভিকটিমকে ডাকতে গিয়ে দেখেন ভিকটিম এর লাশ তার শয়ন কক্ষের ভিতরে ঘরের কাঠের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। শয়ন কক্ষের দরজা খোলা অবস্থায় ছিল বলে জানা যায়। পরবর্তীতে মামা ডাক চিৎকারে অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন সহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন এবং  পুলিশের খবর দেন। 

মামা মাইকেল পান্ডে আরো জানা আমার ভাগ্নি ন্যান্সি মন্ডল ফেসবুকে ফরিদপুর জেলার টুম্পা নামের একজন মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাধে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে মর্মে জানা যায়। বন্ধুত্বের সম্পর্কের জেরে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 
গত ২৪ আগস্ট উক্ত প্রেমের সম্পর্কে তারা দুজন দুজনের বাসা হতে পালিয়ে গিয়ে মাদারীপুর জেলা আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় তাদের খুঁজে বের করে মামা সুমন পান্ডে ও মাইকেল পান্ডে নিজের বাসায় নিয়ে আসে। 

উক্ত প্রেমের সম্পর্ক ভাঙ্গনের কারণে এবং মামাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ায় ভিকটিম মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়ভাবে প্রাথমিকভাবে জানায়।

উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান, লাশের ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মৃত ন্যান্সি মন্ডলের ২ ভাই ঢাকা থাকেন।