মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতি; ৯ লাখ টাকার বেশি বেতন-ভাতা ফেরতের নির্দেশ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পনুট ইউনিয়নের পাঁচগ্রাম জান্নাতুল নুরী দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনায় ক্বারী শিক্ষক মো. আব্দুল গফুরকে প্রাপ্ত সব বেতন-ভাতা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১৯৯৭ সালে আব্দুল গফুর আলিম পাসের যোগ্যতায় ক্বারী পদে নিয়োগ পান। কিন্তু ওই পদের জন্য আবশ্যক মুজাব্বিদ সনদ না থাকায় নিয়োগ ছিল অবৈধ। শর্ত ছিল দুই বছরের মধ্যে সনদ অর্জনের, কিন্তু তিনি তা পূরণ করেননি। পরিদর্শন ও অডিটে বিষয়টি ধরা পড়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০২ সালের মে থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত সরকারি কোষাগার থেকে তিনি ৯ লাখ ১৪ হাজার ১৫০ টাকা বেতন-ভাতা নেন। এ অর্থসহ পরবর্তী সময়ে প্রাপ্ত সব টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আব্দুল গফুর যদি আরও আর্থিক সুবিধা ভোগ করেন তবে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. আনোয়ার হোসেনকে দায়ী করা হবে।
সম্প্রতি পদত্যাগ করা আব্দুল গফুর দাবি করেন, তাঁকে মুজাব্বিদ সনদ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন হয়নি এবং শিক্ষক নিয়োগেও একাধিকবার অনিয়ম হয়েছে। তাঁরা তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী মোনারুল হাসান জানিয়েছেন, একসঙ্গে দুইজন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন, যাচাই শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা জাহান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments