Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিনেট ভবনে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র সাহাকে টেবিল চাপড়ে উপাচার্যকে ধমকাতে দেখা গেছে।

নির্বাচনে কারচুপি, জামায়াত-শিবিরের পক্ষে প্রশাসনের ভূমিকা এবং ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কাছে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, ঢাবি শাখার নেতৃবৃন্দ এবং বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা।

প্রায় ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত এবারের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন ভোটারের মধ্যে ২০ হাজার ৯১৫ জন ছাত্র এবং ১৮ হাজার ৯৫৯ জন ছাত্রী ভোট দিয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যার মধ্যে ভিপি পদে ৪৫ জন এবং জিএস পদে ১৯ জন প্রার্থী ছিলেন।

ছাত্রদলের অভিযোগ, ভোট গণনার সময় প্রশাসন জামায়াত-শিবিরকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে এবং কিছু ব্যালটে আগে থেকেই ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল। রোকেয়া হল ও অমর একুশে হলে এমন ঘটনার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানান ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “আমরা জানি না কত ব্যালটে ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল। দুটি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছি, এর মানে আরও ঘটনা ঘটেছে।”

এদিকে, উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রভাবিত নয়। বিকেল ৪টার পর গণজমায়েতের খবর পেয়েছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে।”

ভোট গণনা ১৪টি মেশিনে ৮টি কেন্দ্রে চলছে এবং ফলাফল নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন থেকে ঘোষণা করা হবে। ভোট গণনা এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি প্রদর্শিত হচ্ছে। তবে, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভোট গণনা কেন্দ্রে প্রবেশে বাধার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ করেছেন, যা টিএসসি কেন্দ্রে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।