Image description

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বেড়াখাই থেকে পাগলা বাজার হয়ে গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া পর্যন্ত গ্রামীণ রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। রাস্তার উভয় পাশে গর্ত খুঁড়ে উধাও হয়েছেন ঠিকাদার। এতে চড়ম ভোগান্তি ও দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকেরা। রাস্তা খুঁড়ে কাজ শেষ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ শেষ করার দাবি তাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাটির উভয় পাশে খুঁড়ে রাখার কারনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী ও যানবাহনের চালকদের। সংকীর্ণ রাস্তায় রিকশা, ভ্যান ও ছোট পরিবহন চলাচল করতে পারলেও বাস-ট্রাক ঢুকে পরলে পরতে হয় বেকায়দায়। রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য খুঁড়ে রাখা উভয় পাশের গর্তের কোথাও কোথাও বালু ও খোয়া দেওয়া হলেও চার ভাগের এক ভাগ জায়গায় বালু ও খোয়া ফেলা হয়নি। একারনে রাস্তার উভয় পাশে খোঁড়া গর্ত এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। তবুও গ্রামীণ রাস্তাটির কাজে গুরুত্ব নেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। 

ভ্যানচালক আতাউল গুণি ও সেলিম মন্ডল বলেন, রাস্তার কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারের লোকজন পালিয়েছেন। এমনিতেই গ্রামীণ জনপদের রাস্তাগুলো সরু, তার উপর উভয় পাশে গর্ত খুঁড়ে রেখেছে দিনের পর দিন। এ অবস্থায় কাজ বন্ধ থাকলে বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়বে। রাস্তার উভয় পাশে খোঁড়া গর্ত ও খানাখন্দের কারনে রিকশা ভ্যান উল্টে পরে যায় গর্তে। এতে অনেকেই আহত হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে।

উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮.৪৫০ কিলোমিটার গ্রামীণ এই রাস্তাটি প্রশস্ত করণের কাজ করছেন নওগাঁর জুয়েল ইলেকট্রনিক ও মোজাফফর বিপণী বিতান নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে হলেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে প্রায় ২৫% শতাংশ। 

এদিকে রাস্তাটির কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঁচবিবি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। এজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।