উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ জাশনে জুলুছের প্রস্তুতি সম্পন্ন; তোরণে সেজেছে সৈয়দপুর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) কে স্বাগত জানাতে তোরণে তোরণে সেজেছে নীলফামারীর গোটা সৈয়দপুর শহর। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে এখন শোভা পাচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবীর বড় বড় তোরণ। শুধু প্রধান প্রধান সড়ক নই বরং শহরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় প্রতিটি রাস্তায় শোভা পাচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবীর এই তোরণগুলো। এভাবে শহরের ১৫টি ওয়ার্ডে ৫০ এর অধিক তোরণের দেখা মিলেছে।
তোরনের পাশাপাশি কালেমা খচিত সবুজ পতাকা ও আলোকস্বজ্জায় এখন শহরের অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকাহ এমন কি মহল্লা মহল্লা ও বাড়ি বাড়িতে সাঁজ সাজঁ রব ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)কে ঘিরে। শহরের গোলাহাট, হাওয়ালদারপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ইসলামবাগ, অফিসার্স কলোনী, বাঁশবাড়ি, পুরাতন বাবুপাড়া, নতুন বাবুপাড়া, রসুলপুর, কয়ানিজপাড়া, কাজিহাট, কাজীপাড়া, মুন্সিপাড়াসহ শহরের বেশিভাগ মহল্লার গলিগুলোকে মরিচা বাতি ও সবুজ পতাকা দিয়ে সাঁজানো হয়েছে। অনেকে নিজেদের বাড়িকেও সাঁজিয়েছেন মিলাদুন্নবীর সাঁজে। এ যেনো এক আলোকিত শহর হয়ে উঠেছে গোটা সৈয়দপুর।
মূলত নীলফামারীর সৈয়দপুরে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও জাকজমকভাবে পালিত হয় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। রাবিউন নুর মাসের চাঁদ দেখার সাথে সাথে শহরের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকাহ ও পাড়া মহল্লাকে সাজানোর ধুম পড়ে যায। বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন ও এলাকাবাসী নিজ নিজ উদ্যোগে এসব করে থাকেন। সবুজ পতাকা, মরিচা বাতিসহ বড় বড় তোরণ তৈরি করে নিজ নিজ এলাকাকেও সাঁজিয়ে তোলেন। মসজিদগুলোতে চলে ১২ দিনব্যাপি মিলাদ মাহফিল।
উল্লেখ্য; গোটা আগামী শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সৈয়দপুরের ঐতিহ্যবাহি আঞ্জুমানে গাউসিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আয়োজনে এখানে অনুষ্ঠিত হয় উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ জাশনে জুলুছ। লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে তখন সৈয়দপুর হয়ে উঠে মিলাদুন্নবীর শহর। মূলত এই দিনকে ঘিরেই গত ১২ দিন ব্যাপি শহরের সাঁজ সাঁজ রব থাকে। এবং এভাবে আলোকিত থাকে গোটা মাস। মাসজুড়ে পাড়ায় পাড়ায় অনুষ্ঠিত হয় হামদ, নাত ও মিলাদ মাহফিল। এভাবে রাতে পবিত্রতার আভা ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরে। এ যেনো আলোকিত শহরে মিলাদের বাহার।
আঞ্জুমানে গাউসিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি আলহাজ্ব নুর উদ্দিন আশরাফী জানান, ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম এই জাশনে জুলুছের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জুলুছটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা কয়েকবার মিটিং করে সদস্যদের দিক নির্দেশনা দিয়েছি। এবার এই বিরাট জুলুছে নেতৃত্ব দিবেন পীর কামেল ভারতের কিছোছা শরীফ থেকে আগত আলে রাসুল হযরাতুল আল্লামা ফায়জান আশরাফ আল আশরাফী সাহেব। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্ত ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, মিলাদুন্নবীর দিন গোটা সৈয়দপুরের পাড়া মহল্লাহ থেকে ছোট ছোট জুলুছ বের হয়ে সবাই একত্রিত হয় রেলওয়ে মাঠে সেখান থেকে সম্মিলিতভাবে প্রধান জুলুছটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এবং রেলওয়ে মাঠে মিলাদ কিয়াম দোয়ার মাধ্যমে তা শেষ হয়।
Comments