
বৃষ্টি হলেই সড়কের বেশিরভাগ অংশে জমে পানি, কার্পেটিং ও পাথর ওঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। একবছর আগে কর্তৃপক্ষ কার্পেটিং সড়কে কিছু কিছু জায়গায় ইট দিয়ে সংস্কার করলেও সেই ইট পানিতে আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সড়কটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক জেলার লাখো মানুষ।
জানা যায়, মদনপুর থেকে বস্তল পর্যন্ত পুরো রাস্তার ইট ও পাথরের খোয়া ওঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তা বন্দর ও সোনারগাঁও উপজেলার অংশে পড়েছে। এই সড়কে প্রায়ই গাড়ি উল্টে যায়। আর বৃষ্টি হলে সড়কের বেশিরভাগ অংশে জমে পানি। গাজীপুরের জয়দেবপুর যাওয়ার বিকল্প রাস্তা হলো মদনপুর হতে এশিয়ান বাইপাস সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজারো যানবাহন চলাচল করে। সড়কটি ভাঙা হওয়ায় বেশিরভাগ সময় জ্যাম লেগে থাকে। আর এই সুযোগে গাড়ির ড্রাইভাররা ১০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা নেন। অটোচালকরা ভাঙা রাস্তার অজুহাত দিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে ৫০-৬০ টাকা ভাড়া নেন নয়াপুর পর্যন্ত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সড়ক দিয়ে মালবোঝাই ট্রাক, যাত্রীবাহী গাড়ি, সিএনজি, অটোরিকশাসহ সব ধরনের যাববাহন চলাচল করে। এই রাস্তা দিয়ে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও অঞ্চলের এক অংশের মানুষের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম এটি। এ ছাড়া সিলেট, নরসিংদী, ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও গাজীপুর জেলার বিকল্প সড়ক এটি। দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ থাকায় আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কবে যে সংস্কার করা হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
কয়েকজন অটোচালকরা জানান, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় অনেক সময় গাড়ি উল্টে পড়ে যায়। এমনকি চলাচল করার সময় গাড়ির বিভিন্ন পাস ভেঙে যায়। আর বৃষ্টি হলে তো রাস্তার মধ্যে পানি জমাট বেধে থাকায় গাড়ি চলাচল করা যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিমকে কয়েকবার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
Comments