
নীলফামারীর সৈয়দপুরে জামায়াত ইসলামীর কর্মীসভায় অংশ নিয়ে ১১ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী দলটিতে যোগদান করেছেন। গত শনিবার রাতে উপজেলার বাঙালীপুর ই্উনিয়নে আয়োজিত ওই সভায় যোগদানকৃতদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, দাওয়াতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাঙালিপুর ইউনিয়নে সনাতন জনগোষ্ঠীর মধ্যে দলীয় প্রচারণা চালান জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এসময় ১১ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী জামায়াতের সদস্য ফরম পূরণ করে দলটির প্রতি সমর্থন জানান।
তারা হলেন শ্রী বিসনু, প্রশান্ত পাল, শ্রী ধীমন, শ্রী বিপ্লব কুমার, শ্রী সুশান্ত, অনিমেষ, দীপক, ঋষিকেষ, জয়দেব, অরুন রায়, শ্রী মনোরঞ্জ প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির প্রতি সমর্থন জানানো শ্রী বিপ্লব কুমার জানান, জামায়াতে বলা আছে আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। এই আইন যদি বাস্তবায়ন হয় তবে কোন চুরি, রাহাজানি, চাঁদাবাজি থাকবে না। জামায়াত সেই কাজটা করতে চায়। এরকম শাসন চলে আসলে আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই শান্তিতে থাকবে পারব। তাই আগামী নির্বাচনে আমরা জামায়াতের পাশে থাকবো।
শ্রী বিসনু নামের অপর একজন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে বহুদিনের জমি সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়েছেন স্থানীয় জামায়াতের নেতারা। বিগত সরকারের আমলে অনেক নেতার কাছে গেছি, টাকাও খরচ করেছি কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। দলটির নেতাদের ন্যায়বিচার দেখে মুগ্ধ হয়ে জামায়াতে যোগদান করেছি।
ওই কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলহাজ্ব মাযহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য রেজওয়ানুল হাসান, বাঙালিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
এদিকে একই দিন রাতে সৈয়দপুর শহরে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম। গণসংযোগকালে আব্দুল মুনতাকিম উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সৎ নেতৃত্ব ও আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন চায়। আমরা ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজি মুক্ত সমাজ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করবো ইনশাআল্লাহ। আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নির্বাচনে সকল সম্প্রদায়ের সমর্থন আশা করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক আব্দুল কাদিম, সৈয়দপুর শহর জামায়াতের আমীর শরফুদ্দিন খান, সেক্রেটারি ওয়াজেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Comments