Image description

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদী ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বাজারের নোংরা বর্জ্য, প্লাস্টিক, পলিথিন ও হোটেলের ক্ষতিকর বর্জ্য নির্বিচারে ফেলায় নদী তার প্রাকৃতিক অস্তিত্ব হারাচ্ছে। দুর্গন্ধে পথচারীদের হাঁটা দায় হয়ে পড়েছে, এমনকি থানার পাশের রাস্তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই দূষণ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই।

স্থানীয় মাইক্রোস্ট্যান্ডের চালক আব্দুল লতিফ বলেন, “প্রতিদিন নদীতে ময়লা ফেলা হয়। দুর্গন্ধে মাইক্রোস্ট্যান্ডে থাকা অসম্ভব। থানা, বাজার, স্কুল সব কাছাকাছি, তবু ময়লা ফেলা বন্ধ হচ্ছে না।”

বাসিন্দা ইবনে নূর বলেন, “একসময় নদীর পানি ব্যবহার করা যেত, এখন কাছে যাওয়া যায় না। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে।”

বদলগাছী থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, “আমার আবাসিক রুমের ১০ ফিট দূরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু ছুটিতে থাকার সুযোগে আবার শুরু হয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য এটি হুমকি। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।”

পরিবেশবিদরা জানান, এভাবে দূষণ চললে নদী, কৃষিজমি, জীববৈচিত্র্য ও ভূগর্ভস্থ পানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বিএপিএ) নওগাঁর সহ-সাধারণ সম্পাদক নাইস পারভিন বলেন, “নদীর দূষণ বন্ধে প্রশাসন ও নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। প্রশাসন নীরব থাকলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এভাবে চললে এক দশকের মধ্যে ছোট যমুনা মৃত নদীতে পরিণত হবে।”

বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান ছনি বলেন, “বিষয়টি দেখেছি। ময়লা ফেলার বিকল্প জায়গা খুঁজছি। শিগগিরই সমাধান হবে।”