Image description

বরিশাল জেলার  উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্ব জয়শ্রী গ্রামের সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে জোর করে দোকান ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে আদালতে নির্দেশে মামলা নিয়েছে পুলিশ। 

ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া থেকে শুরু করে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে লাখ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সহ স্থানীয় এক শিল্পপতির বিরুদ্ধে। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী কৃষক লীগের ওই নেতার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদীসহ ভুক্তভোগী পরিবারটি। পুলিশ আদালতের নির্দেশে মামলাটি রুজু করলেও ধর্ষিতাসহ পরিবারটি নিরাপত্তার কোন দায়িত্ব নেয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। 

ভুক্তভোগী পরিবার ও এজাহ সূত্রে জানা যায়, ২৯ জুলাই বিকেল ৪ টার সময় স্কুলছাত্রী পশ্চিম জয়শ্রী গ্রামের আকবর আলী বিশ্বাসের লম্পট  পুত্র ইমরান হোসেন (২৪) এর দোকানের কাছে গেলে ওই ইস্কুল ছাত্রীকে জোর করে দোকান ঘরে ঢুকে দোকানের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে। বিষয়টি ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী তার পরিবারকে জানালে ছাত্রীর মা থানায় অভিযোগ করলে, বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও প্রভাবশালী চাতাল ব্যবসায়ী মোঃ ইসাহাক হাওলাদারের, তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কয়েক লাখ টাকার অর্থ বাণিজ্য করেন বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়। 

ধর্ষিতার নানী ও ওই পরিবারে একাধিক সদস্য জানান, ঐ কৃষক লীগের নেতা মোঃ ইসাহাক হাওলাদার মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতার পিতাকে জয়শ্রী জয় রাইস মিলের অফিস ঘরে শিল্পপতি আব্দুল মজিদ ভূইয়ার কাছে নিয়ে এসে ধর্ষিতার পিতাকে ১ লাখ টাকা নিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন। এই ঘটনার পর থেকে ধর্ষিতা সহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

আব্দুল মজিদ ভূইয়া বলেন, আমার অফিসে বসে উভয় পক্ষ আপোষ মীমাংসা হয়েছে। এরপরে কি হয়েছে আমি জানিনা। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আলমগীর হোসেন জানান, মামলাটি ২০ আগস্ট আদালতের নির্দেশে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ধর্ষকসহ ৩ জানতে আসামী করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

অপরদিকে ভুক্তভোগী পরিবারটি জানায়, পুলিশ কৃষক লীগ নেতা ও প্রভাবশালী প্রভাবে আসামীদের পক্ষ নিচ্ছেন এবং কৌশলে আসামি গ্রেফতার করছে না। 

কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইসহাক হাওলাদার জানান, এ বিষয়ে আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া তার রাইস মিল অফিসে আমাকে ডেকে উভয় পক্ষকে ধমক দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন, যেহেতু বিষয়টি তাদের গ্রামের এবং অর্থ লেনদেন ও মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রত্যাহারের বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। 

এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয়েছে, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

স্থানীয়রা অতিদ্রুত ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।