
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে যুবদলের এক নেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার বিকালে এ ঘটনার পর যুবদলের ওই নেতা মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে জানান ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাউদ্দিন বিশ্বাস। দণ্ড পাওয়া জিয়াউর রহমান ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য।
সালাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, বেলা ৩টার দিকে জিয়াউর তার স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করাতে উপজেলা কার্যালয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাসানুর রহমানের কাছে বিষয়টির সমাধান চান।
“এ সময় হাসানুর সার্ভার ডাউন বলে জিয়াউরকে জানালে তিনি তার মোবাইল নম্বর চান। হাসানুর নম্বর দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে মারধরের ঘটনা ঘটে।”
মারধরের শিকার হাসানুর বলেন, “মোবাইল নম্বর দিয়ে কি করবেন জানতে চাইলে জিয়াউরের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে গলাধাক্কা দেন। পরে অফিসের লোকজন জিয়াউরকে থামানোর চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে জানতে যুবদল নেতা জিয়াউর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে জিয়াউরের চাচা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব নূরে আলম জিকু বলেন, “ফালতু বিষয় নিয়ে আমাকে কল করা আপনার উচিৎ হয়নি। ফোন রাখেন বলে তিনি কল কেটে দেন।”
সহকারী কমিশনার সালাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “অফিসে এসে একটি লোক দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ইউএনওর সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে গলাধাক্কা দেন।
“তাৎক্ষণিক তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” তবে জিয়াউরকে আটকের পর যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়াতে আসেন বলে জানান সালাউদ্দিন বিশ্বাস।
ইউএনও সানজিদা রহমান বলেন, “মারধর নয় জিয়াউর রহমান অফিসের মধ্যে হাসানুরকে গালাগালির এক পর্যায়ে গলাধাক্কা দিয়েছেন। তখন আমি বাহিরে ছিলাম। পরে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
Comments