গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদীভাঙ্গনে বিলীন বসতবাড়ি ও আবাদি জমি

দিনাজপুরের দিক থেকে বহমান গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে শিকার হয়েছে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দূর্গাপুর, বিশ্বনাথপুর ও তালুক রহিমাপুরের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ভয়াবহ ভাঙ্গনে আতঙ্কিত এলাকার ও আশপাশের গ্রামের মানুষ।
করতোয়া নদীর ভাঙ্গনে শিকার হয়ে প্রায় ২২ বিঘা জমি হরিয়েছেন দরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের সাদেক আলী। ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ, চার গ্রামের ২ শতাধিক বসতভিটা, মসজিদসহ অনেক অবকাঠামো। ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে কাটাবাড়ীর ফুলহার, সাপমারা ইউপির কাইয়াগঞ্জ ও পৌরসভার ১ এবং ৪নং ওয়ার্ডের খলসী চাদপুর বালেমারি, বোয়ালিয়া এলাকার বেশ কিছুৃ স্থানে।
এছাড়াও ফুলবাড়ী ও তালুককানুপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর, শ্যামপুর-পার্বতীপুর, বড় সোহাগী, সুন্দুইলসহ চারগ্রাম এবং সুন্দুইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক, ফসলি জমি রক্ষায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে ভঙ্গন কবলিত ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন করেছে।
এরমধ্যে করতোয়া-কাটাখালী নদীর ভাঙ্গনে সুন্দুইল গুচ্ছগ্রাম টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত ফসলি জমি নদীতে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়াও ভঙ্গন আতঙ্কে এলাকার হাজারো পরিবার,ঈদগহ মাঠ, বড় রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রায় ২শ’ বিঘা ফসলি জমি এবং অসংখ্য গাছপালা।
দরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে ওবাইদুল জানান, আমাদের সব জমিজমা এখন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছ। একমাত্র বসতভিটা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন বসতভিটা নদী গর্ভে চলেগেলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো বলতে পারেন।
সাহেব আলী শেখে বলেন, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাশের পাইলিং দিয়ে চেষ্টা করা হলেও তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি রক্ষায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকারের কাছে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি।
এলাকার রক্ষায় অবিলম্বে ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ দিয়ে অস্থায়ী কাজ করাসহ পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্লক দিয়ে স্থায়ী কাজ করার দাবি জানান।
এবিষয়ে পনি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি এলাকাবাসীর।
জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ জানান, ভাঙ্গন প্রতিরোধের বিষয় টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডিসি অফিসে মিটিংয়ে রয়েছে বলে জানান।
Comments