Image description

সিলেটে টাস্কফোর্স ও যৌথ বাহিনীর ষষ্ঠ দিনের অভিযানে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে লুট হওয়া প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার ও প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, আরও প্রায় ৪ লাখ ঘনফুট পাথর বিভিন্ন স্থানে জব্দ অবস্থায় রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩১ হাজার ৭০০ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এ সময় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। সিলেট সদরের টিলাপাড়ায় ৩ হাজার ৫০০ ঘনফুট, রঙ্গিটিলায় ২০০ ঘনফুট এবং কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি ও শিমুলতলায় ২৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়। গোয়াইনঘাটের জুমপার এলাকায় সাড়ে ৪ হাজার ঘনফুট পাথর জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ জানান, উদ্ধারকৃত পাথর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা বাসিন্দাদের জিম্মায় দেওয়া হচ্ছে এবং পরে ভোলাগঞ্জে প্রতিস্থাপন করা হবে। কোম্পানীগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন সজীবের নেতৃত্বে কলাবাড়ির পেয়ারাবাগানে বালুর স্তূপের নিচে ও শিমুলতলায় টিনের বেড়ার আড়ালে লুকানো পাথর উদ্ধার হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফ্রাহিম ইকবাল চৌধুরী জানান, তল্লাশিচৌকিতে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলোতে অবৈধ সাদাপাথর মিশ্রণের চেষ্টা ধরা পড়েছে। এসব ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গোয়াইনঘাটের ইউএনও রতন কুমার অধিকারী বলেন, উদ্ধারকৃত পাথর জাফলংয়ে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার জানান, ছয় দিনে দেড় লাখ ঘনফুট পাথর সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। জব্দ ৪ লাখ ঘনফুট পাথরও শিগগির প্রতিস্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, সিলেটে সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দিসহ ১০টি পর্যটনকেন্দ্রে ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে আসা পাথর অবৈধভাবে লুট হচ্ছিল। ২০২০ সালের পর পরিবেশ রক্ষায় কোয়ারি ইজারা বন্ধ থাকলেও গত বছর থেকে লুটপাট বেড়েছে। অভিযানে এসব পাথর উদ্ধার ও প্রতিস্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।