Image description

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. এহেসানুল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অনিয়মের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পক্ষিয়া ইউনিয়ন থেকে দেউলা ইউনিয়নে বদলির পরও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। আগামী ২০ আগস্ট উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে শুনানির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পক্ষিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ছেলামত মাতাব্বর অভিযোগ করেন, ২ হাজার ১৬০ টাকার দাখিলার কাগজের জন্য এহেসানুল করিম তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এছাড়া, ৩০ টাকার দাখিলার জন্য ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে তিনি জানান। একই ইউনিয়নের আনিসুল হক অভিযোগ করেন, তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও তার পক্ষে কোনো কাজ হয়নি। প্রতিবাদ করলে ৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

এছাড়া, তারাপদ চক্রবর্তী জানান, নামজারির জন্য ১ হাজার ১৫০ টাকার কাজে ৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মো. তরিকুল ইসলাম ও মো. ইমরানও ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে এহেসানুল করিমকে পক্ষিয়া থেকে দেউলা ইউনিয়নে বদলি করা হয়। ভুক্তভোগী ইমরান জানান, উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার মো. মেহেদী হাসান এ বিষয়ে শুনানির জন্য নোটিশ জারি করেছেন।

তবে, এহেসানুল করিম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এটি স্বাভাবিক বদলি, কোনো অপরাধের কারণে নয়।” তিনি নোটিশ সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার মো. মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ভুক্তভোগীরা সুষ্ঠু তদন্ত ও এহেসানুল করিমের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচার দাবি করেছেন।