
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বড় অগ্রগতি এসেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে। সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে মিলিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত হয় একটি হানিট্র্যাপ থেকে। গোলাপি নামে এক নারী বাদশা নামের এক ব্যক্তিকে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা সশস্ত্র যুবকরা বাদশাকে চাপাতি দিয়ে আক্রমণ করে। ঘটনার সময় সাংবাদিক তুহিন কাছেই দাঁড়িয়ে মোবাইলে এই দৃশ্য ধারণ করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
সিসিটিভি ফুটেজে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান নামে একজনকে দাড়ি ও মাথায় ক্যাপ পরা অবস্থায় চাপাতি হাতে দৌড়াতে দেখা গেছে। তার সঙ্গে শাহজামাল, বুলেট ও সুজনসহ আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি সন্দেহভাজনদের পরিচয় উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ক্রাইম) রবিউল হাসান জানান, “আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি এবং সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে তাদের পরিচয় মিলিয়ে দেখছি। সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত চলছে, যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি এই মামলায় জড়িয়ে না পড়েন।”
পুলিশের একাধিক টিম বর্তমানে পলাতক গোলাপি ও অন্যান্য চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
Comments