
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও হামলার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর ২টার দিকে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কালিহাতী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আরিফুল ইসলাম।
আহতদের কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়। একই সময়ে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহীদ শফি সিদ্দিকী তোরণের পাশে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ তালুকদার, ড্যাব নেতা চিকিৎসক শাহ আলম, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, কালিহাতী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলী আকবর জব্বার ও জেলা জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়ালের পক্ষের নেতাকর্মীরা একটি সমাবেশের আয়োজন করেন।
টিটোর নেতৃত্বাধীন মিছিল সমাবেশের কাছাকাছি পৌঁছলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হামলা ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শুকুর মাহমুদ তালুকদার অভিযোগ করেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে ‘আওয়ামীপন্থি’ লোকজন মিছিল নিয়ে আমাদের সমাবেশের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হামলা চালায়। পরে কালিহাতীর মানুষ প্রতিরোধ করলে তারা পালিয়ে যায়। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।”
অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. মজনু মিয়া বলেন, “আমরা বিজয় মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। পথে তারা আমাদের মিছিলে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, “দুই পক্ষের বিজয় মিছিলের সময় বাকবিতণ্ডা হয়েছে, তবে কোনো মারামারি হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তবে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
Comments