
টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী কাকলী আক্তারকে (৩৫) খুনের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের সখীপুর-বাটাজোর সড়কের কাউচিচালা নামক এলাকায় ঘাতক স্বামী মো. মেহেদী হাসান এ ঘটনা ঘটায়।
ঘটনার পর নিহতের মেয়ে মেরী আক্তার তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক স্বামী ঘটনার পর পালিয়েছে।
নিহত কাকলী আক্তার উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মোচারিয়া পাথার গ্রামের আব্দুস ছবুরের মেয়ে এবং মো. মেহেদী হাসান একই ইউনিয়নের ইছাদিঘী গ্রামের মো. হায়দার আলীর ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
নিহতের মেরী আক্তার (১৫) নামের এক মেয়ে ও মিরাজ (১১) নামের এক ছেলে রয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। আজ সকালে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী মেহেদী ছুরি দিয়ে স্ত্রী কাকলীর পিঠে আঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়ে ও আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে মিরাজ বলেন, সকালে আমার আব্বু ও আম্মুর মধ্যে ঝগড়া লাগে। আব্বু ছুরি লুকিয়ে খাটে বসে ছিল। আর আম্মু নিচে বসে কাজ করতে ছিল। পরে আব্বু, আম্মুকে ছুরি দিয়ে পিঠের মধ্যে ঘাঁও দেয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো.রাসেল ভূইয়া বলেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের ভাই মো. বাদল বাদী হয়ে হত্যা মামলা করবেন এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Comments