Image description

গত ৪৮ ঘণ্টায় নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এই দলগুলোকে সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম রোববার (৩ আগস্ট) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার ও শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, সারাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি প্রতিরোধে নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। তার ধারাবাহিকতায় গত ৪৮ ঘণ্টায় পুলিশ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতা অথবা সক্রিয় কর্মী। এদের বিরুদ্ধে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার শাহাদাত হোসেন পাভেল (৩০), সুধারাম মডেল থানার মো. আরমান (১৯), চরজব্বর থানার মো. রিপনুর রহমান (২৬), মো. মেহরাজ উদ্দিন মিলন চৌধুরী (২৫), বেগমগঞ্জ মডেল থানার তানজিল হাসান (২৮), আলা উদ্দিন (৪০), সিরাজ মিয়া (৫২), জাহিদুল হাসান মৃদুল (১৯), শ্রাবণ (১৯), আব্দুল আহাদ (১৮), নুর নবী রাজু (৩১), সাইফুল ইসলাম শাওন (৩৩), চাটখিল থানার ওয়াসিম রাব্বানী শিপন, মো. আলাউদ্দিন (২৮), সোনাইমুড়ী থানার জুলফিকার আলী ভুট্টো (৩৮), পার্থ সাহা (৩২) ও সেনবাগ থানার মো. আলী হোসেন (৩৬) ও মো. গিয়াস উদ্দিন বুলেট (৩৩)।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, অপরাধ দমনে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ অভিযানে নোয়াখালীতে গত ৪৮ ঘণ্টায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

থানা পুলিশ কর্তৃক বিশেষ অভিযান ও অপারেশন ডেভিল হান্ট এর কার্যক্রম চলমান আছে। অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।