Image description

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ৮ বছরের শিশুকে একাধিকবার বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে কেসমত আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কেসমত আলী জীবননগর পৌরসভার শাখারিয়া গ্রামের মাঝের পাড়ার মৃত কদমোল্লার ছেলে।

সে জীবননগর পিচমোড় মসজিদ উন্নয়নকল্পে অর্থ সংগ্রহ করতেন ও উক্ত মসজিদে নিয়মিত মুসল্লী ছিলেন।

ভুক্তভোগী শিশু আল-মাবুদ (৮) চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। সে একই এলাকার আশরাফুল হক মল্লিকের ছেলে।

ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মিমাংসার জন্য স্থানীয়রা সালিশে বসেন। সালিশে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মিমাংসার চেষ্টা করে বলে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার অভিযোগ করেন।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর মা রোজিনা খাতুন সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, কেসমত আলী তার শিশুপুত্রকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক বছর ধরে পিচ মোড় মসজিদের ছাদে নিয়ে জোরপূর্বক খারাপ কাজ করে আসছে। এই কথা কাউকে বলে দিলে তাকে ও তার বাবা-মায়ের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। যার কারনে শিশুপুত্র ভয়ে আমাদের কাছে কিছুই না বলে পাশবিক নির্যাতন সহ্য করে আসছে।
বেশ কিছুদিন ধরে আমার ছেলে অস্বাভাবিক আচরণ করছে ও শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করছে। বিষয়টি সন্দেহ হলে গত ১৮ জুলাই তার কাছে জিজ্ঞেস করলে সে আমাদের কাছে ঘটনা খুলে বলে।

দীর্ঘ এক বছর ধরে অভিযুক্ত কেসমত আলী তাকে মসজিদের ছাদে, গয়েশপুর ব্রীজের পাশে আমবাগানসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে এই পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঘটনাটি আমি ও আমার স্বামী প্রতিবাদ করলে কেসমত আলী উক্ত ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে নগদ টাকার দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমরা যেনো এই ঘটনাটি জানাজানি না করি বা মামলা না করি।

এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, কেসমত আলীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন না। সে দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের সাথে এই ধরনের কুকর্ম করে আসছে। পূর্বে এধরণের অভিযোগ হলেও তার সঠিক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারনে সে এধরণের কাজ করার সাহস পাচ্ছে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, শিশুপুত্রকে বলাৎকার করার ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।