
বাংলাদেশের জাতির পিতা শুধু একজন নন, কয়েকজন রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে পদযাত্রা শেষে পথ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে রংপুরের একটি উপজেলায় হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের নবীজিকে সেখানে কটূক্তি করা হয়েছে। আমরা এর অবশ্যই বিচার চাই। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সভ্যতার ওপর কেউ আঘাত করে, এমন ঘটনা আমরা কখনই মেনে নেব না। অন্য ধর্মের ওপর আঘাত করা আমাদের নবীজি শিক্ষা দেননি। নবীজি সব সময়ই অন্য ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেন।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে কোনো শক্তিশালী কৃষক সংগঠন নাই। ফলে কৃষকদের কথা বলার কোনো প্লাটফর্ম নাই। কৃষকেরা তাদের ন্যায্য অধিকার পায় না। সরকার কৃষকদের ভর্তুকি পায় না। আবার বিক্রি করতে গেলে দাম পায় না। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে কৃষক তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।’
এসনিসির এই নেতা বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশের স্থপতি তাদেরকে বাদ দিয়েই জাতির পিতা একজনকে ঘোষণা করা হয়েছে। একজনকে গত ৫৪ বছর ধরে পূজা করা হয়েছে। কিন্তু মওলানা ভাসানী না থাকলে শেখ মুজিব তৈরি হতেন না। বাংলাদেশে শুধু একজন জাতির পিতা নন, কয়েকজন জাতির পিতা রয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম মওলানা ভাসানী।’
পথসভায় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলতে চাই, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের প্রশাসনকে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীকেও বাংলাদেশের জন্য দেখতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের জন্য দেখতে চাই। আমরা কোনো দল, ব্যক্তি গোষ্ঠীর জন্য আর প্রশাসনকে ব্যবহার হতে দেখতে চাই না। আগামীর বাংলাদেশে কোনো মিডিয়াকেও কোনো ব্যক্তি গোষ্ঠীর দলের দালাল হিসেবে দেখতে চাই না। দেশে কোনো চাঁদাবাজিও দেখতে চাই না।’
এর আগে এনসিপির নেতারা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্যসচিব সারোয়ার নিভা, ডা. তাজনুভা জাবিনসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
Comments