Image description

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় ১০ নং ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও স্থানীয় বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হক, তার ছেলে-আত্মীয় স্বজনের হামলায় ধোপাছড়ি বিট কর্মকর্তাসহ ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় চন্দনাইশ উপজেলা চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন দোহাজারী রেঞ্জের ধোপাছড়ি বিট ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পরানজুরানি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, ধোপাছড়ি বিট কর্মকর্তা সুদত্ত চাকমা, ফরেস্টার ইমন বিল্লা, ফরেস্ট গার্ড আবু বক্কর সিদ্দিক, ফরেস্ট গার্ড শুভ ইসলাম, পাহাড়া দলের দলনেতা মোহাম্মদ কুতুবসহ আরও ৫জন।

জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার সময় ১০ নং ধোপাছড়ি ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার মোজাম্মেল ১৫ থেকে ২০ জনের একদল কাঠ চোরদের নিয়ে বে-আইনিদল গঠন পূর্বক বন-বিভাগের সংরক্ষিত এলাকা পরানজুরানি নামক স্থান থেকে সেগুন গাছ কেটে নিয়ে আসার খবর ধোপাছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বন পাহাড়াদারের লোকজন জানতে পারলে তাদেরকে বাঁধা দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র বন-বিভাগের লোকজনের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে ও বেধরক মারধর করে প্রায় ১০ জনকে আহত করে।

খবর পেয়ে ধোপাছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তাও সদস্যগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী হাসপাতালে প্রেরণ করছেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের দোহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক এ. কে. এম ইমরুল কায়েস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চন্দনাইশ উপজেলার চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ এর আওতাধীন দোহাজারী রেঞ্জের ধোপাছড়ি বিট ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পরানজুরানি এলাকায় একদল চিহ্নিত বনদস্যু স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হকসহ ১০ থেকে ২০ জন লোক বনের গাছ কেটে পাচার করছে বলে খবর পাওয়া যায়। তখনই ধোপাছড়ি বিট কর্মকর্তা সুদত্ত চাকমার নেতৃত্বে বনরক্ষীরা অভিযানে যায়। অভিযানের খবর পেয়ে সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালায় বনদস্যুরা। এতে করে ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়। বন-বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক জানান, প্রথমে ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। ঘটনাস্থলে যখন তর্কাতর্কি হচ্ছে তখন আমি গিয়ে তাদেরকে নিবৃত্ত করি। আমি বন কর্মকর্তাদের কোন আঘাত বা হামলা করিনি। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত না।

চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, এ ব্যাপারে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।