
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাবনার চরতারাপুরে অস্ত্র কেনাবেচার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যা ঘিরে যুবদলের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও দলটি তা অস্বীকার করেছে। পাবনা জেলা যুবদল দাবি করছে, ভিডিওতে দেখা যাওয়া ব্যক্তিরা তাদের দলের কেউ নয়। এদিকে, পুলিশ ভিডিওটিকে অনেক পুরোনো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আজিজুল হক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "পাবনায় যুবদলের পরিচয়ে অস্ত্র ব্যবসা" শিরোনামে সম্প্রতি যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাওয়া কারো মুখ স্পষ্ট নয়, ফলে চিহ্নিত করাও সম্ভব নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি যুবদলের কর্মী নন এবং দলে কোনো অপরাধীর স্থান হবে না। যুবদল প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছে, দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ এমন অপকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এর আগে গত বুধবার (১৬ জুলাই) একটি ফেসবুক পেজে অস্ত্র হাতে কিছু ব্যক্তির একটি ভিডিও প্রকাশ পায়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, এটি অস্ত্র কেনাবেচা সংক্রান্ত এবং জড়িতরা স্থানীয় যুবদলের কর্মী পরিচয়ে এই অবৈধ ব্যবসা করছে।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানা বলেছেন, "৫ আগস্টের পর অনেকে দলের পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করছে। বিষয়গুলো জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করছি। দলের মধ্যেও যদি কেউ কোনো অপকর্মে জড়িয়ে থাকে আমরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।"
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, ভিডিওর স্থানটি সদর থানার শেষ সীমানায়। তিনি বলেন, "ভিডিওটি পুরোনো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। যেই অপরাধ করুক, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।"
Comments